,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

পাঁচ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ও হিলারির বিশাল জয়

এবিএনএ : আগাম জনমত জরিপকে সত্য প্রমাণ করে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত প্রাইমারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন বড় ধরনের জয় পেয়েছেন।

ট্রাম্প পাঁচটি অঙ্গরাজ্যেই জয় পেয়েছেন। হিলারি চারটিতে জিতেছেন। হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স একটি অঙ্গরাজ্যে (রোড আইল্যান্ড) সম্মানজনক ব্যবধানে জয় লাভ করে বিজয়ের তালিকায় নিজের নাম যোগ করতে পেরেছেন।

পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে যে বিপুল ব্যবধানে ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন, তা আগের সব হিসাব-নিকাশ বদলে দিয়েছে। রোড আইল্যান্ডে তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৬৪ শতাংশ ভোট। সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেরিল্যান্ডে। বাকি তিন অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া, ডেলাওয়্যার ও কানেটিকাটে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ যথাক্রমে ৫৭, ৬১ ও ৫৮ শতাংশ।

অন্যদিকে, হিলারির প্রাপ্ত ভোট ডেলাওয়্যার ও মেরিল্যান্ডে ৬০ শতাংশ পেরিয়ে গেছে। অন্য দুই অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া ও কানেটিকাটে তিনি পেয়েছেন যথাক্রমে ৫৬ ও ৫১ শতাংশ ভোট। আর রোড আইল্যান্ডে স্যান্ডার্স ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে হিলারির জয়রথে বাগড়া দিয়েছেন।

পূর্বাঞ্চলের এই অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যাগত চরিত্রের কারণে ট্রাম্প ও হিলারির পক্ষে এই বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নগর ও শিল্পপ্রধান এসব অঙ্গরাজ্যে শ্বেতাঙ্গ রিপাবলিকান ভোটাররা তুলনামূলকভাবে কম রক্ষণশীল। তবে অব্যাহত অর্থনৈতিক সংকটের জন্য তাঁরা ওবামা প্রশাসনের প্রতি যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনি ওয়াশিংটনের রিপাবলিকান রাজনীতিকদের ওপরও তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে। ‘বহিরাগত’ ট্রাম্প তাঁর এস্টাবলিশমেন্টবিরোধী বক্তব্যের কারণে এই ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ক্রুজ অতিরক্ষণশীল হওয়ায় এখানে কোনো সমর্থন-ভিত গড়ে তুলতে পারেননি। তৃতীয় প্রার্থী গভর্নর জন কেইসিক মধ্যপন্থী হওয়া সত্ত্বেও রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।

বাছাইপর্বের এই নির্বাচনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বেশিসংখ্যক ডেলিগেট সংগ্রহ করা। রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পেতে হলে চাই মোট এক হাজার ২৩৭ জন ডেলিগেটের সমর্থন।

অধিকাংশ ভাষ্যকার একমত, এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে এবং সবশেষ এই পাঁচ অঙ্গরাজ্যে চমৎকার ফল করার সুবাদে মনোনয়ন লাভের পথে ট্রাম্প অনেকটা এগিয়ে গেছেন।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জনমত গণনায় ইন্ডিয়ানা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। সেখানে প্রাইমারি ভোটযুদ্ধে জিততে পারলে তাঁর প্রয়োজনীয় ডেলিগেটের সংখ্যা সুনিশ্চিতভাবে পেরিয়ে যাবে। জরিপে নিউ জার্সি ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায়ও ট্রাম্প এগিয়ে।

ডেমোক্রেটিক মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারির জন্য অবস্থা আরও সুবিধাজনক। প্রাইমারি ভোটে বিজয়ের সুবাদে তিনি ইতিমধ্যে স্যান্ডার্সের চেয়ে তিন শতাধিক ডেলিগেটে এগিয়ে আছেন। এর বাইরে হিলারির রয়েছে আরও ৫১৯ জন ‘সুপার ডেলিগেট’। এসব দলীয় কর্মকর্তা ও নির্বাচিত প্রতিনিধির মাত্র ৪২ জন স্যান্ডার্সের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যে ২ হাজার ৩৮৩ জন ডেলিগেটের সমর্থন দরকার, দুই ধরনের ডেলিগেট যোগ করলে গাণিতিক হিসাবে স্যান্ডার্সের পক্ষে তা অর্জন অসম্ভব।

সত্যটি স্যান্ডার্স নিজেও বুঝতে পারছেন। গতকালের নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচনার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, দলের নির্বাচনী এজেন্ডা কী হবে, আমেরিকার জনগণ সে ব্যাপারে নিজেদের মতামত প্রদানের পূর্ণ অধিকার রাখেন। আর সে জন্যই মনোনয়ন-প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

স্যান্ডার্সের কথা থেকে স্পষ্ট, আগামী জুলাই মাসে দলের কনভেনশনে তাঁর মনোনয়ন লাভের কোনো আশা নেই—এ কথা তিনি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু সেই সম্মেলনে দলের নির্বাচনী ইশতেহার কী হবে, সে ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আগ্রহী তিনি। যত বেশিসংখ্যক ডেলিগেট নিয়ে তিনি সম্মেলনে যাবেন, সে ভূমিকা পালন তাঁর জন্য সহজ হবে।

গতকালের নির্বাচনের পর এখন কার্যত স্পষ্ট যে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ও হিলারি তাঁদের নিজ নিজ দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ট্রাম্প তাঁর বিজয় ভাষণে নিজেই নিজেকে দলের একমাত্র অবশিষ্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। নিউইয়র্কে তাঁর নির্বাচনী সদর দপ্তরে সমর্থক ও সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রিপাবলিকান দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ।

উৎফুল্ল ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ‘আজ আমরা কেবল জিতিনি, জিতেছি বিশাল আকারে।’

প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারিকে অনায়াসে পরাজিত করবেন তিনি।

ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীকে দুর্বল ও অক্ষম হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, হিলারির পক্ষে একমাত্র যুক্তি, তিনি একজন নারী। কিন্তু নারীদের মধ্যেও হিলারি সমর্থন ৫ শতাংশের বেশি নয়।

হিলারি তাঁর বিজয় ভাষণে স্যান্ডার্সের কোনো সমালোচনা করার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতির ওপর জোর দেন। ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করে তিনি ঘোষণা করেন, ‘বিভক্ত করার পরিবর্তে সম্মিলিত করে—এমন উপাদান আমাদের মধ্যে অনেক বেশি রয়েছে। প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার জন্য আমাদের এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

Share this content:

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal
Executive Editor : Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag, 2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka. Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited